অভিনেত্রী নিপুণকে শিল্পী সমিতি থেকে বহিষ্কার

অভিনেত্রী নিপুণকে শিল্পী সমিতি থেকে বহিষ্কার
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে। তাকে বহিষ্কারের কারণ হিসেবে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে, বিশেষত সমিতির প্যাড ব্যবহার করে মনগড়া বিবৃতি প্রকাশ করার কারণে। সম্প্রতি সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিপুণের বিরুদ্ধে নানা বিতর্ক এবং সমালোচনা চলমান ছিল, যার মধ্যে অন্যতম ছিল শিল্পী সমিতির নির্বাচন এবং বিভিন্ন বিষয়ে তার বেফাঁস মন্তব্য। নিপুণের সমালোচনা আরো বেড়ে যায় ২০২২ সালের ১৬ জুলাই, যখন তিনি শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে একটি বিবৃতি দেন। এই বিবৃতিতে তিনি নিজেকে 'সাবেক' সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেন, যা সে সময় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। পরদিন তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে সেটি পোস্টও করেন। এই কর্মকাণ্ডের পর সমিতির কমিটি ৩০ জুলাই তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়, তবে নিপুণ কোনো গুরুত্ব দেননি এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান। এছাড়া, শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার এবং সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের কারণে তাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এই বিষয়ে শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও মুখপাত্র ডিএ তায়েব বহিষ্কারের সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিনেত্রী নিপুণের ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো খুদে বার্তায়ও সাড়া মেলেনি। এর আগে, নিপুণ বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্য পালানোর চেষ্টা করলে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে আটকের ঘটনা ঘটে। ইমিগ্রেশন পুলিশ তার পাসপোর্ট অফলোড করে, তবে পরে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নিপুণের অতীত কর্মকাণ্ড এবং তার বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন, বিশেষ করে শিল্পী সমিতির অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহার করে বিতর্কিত বিবৃতি দেওয়া এবং নিজেকে 'সাবেক' সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করায় নানা প্রশ্ন উঠেছে।